ইত্তিহাদ একাডেমি

আলহামদুলিল্লাহ! সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি মানবজাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর মানবজাতিকে পথ প্রদর্শনের জন্য জীবনবিধান হিসেবে মহাপবিত্র গ্রন্থ কুরআন দান করেছেন।

এই কুরআন শুধু জীবন বিধান নয়; বরং তা রবের পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি মহামূল্যবান একটি পত্রও বটে, যেখানে তাঁর কাছাকাছি পৌঁছার এবং তাঁর প্রিয়ভাজন হওয়ার যাবতীয় ফর্মুলা বিস্তারিতভাবে বিবৃত হয়েছে।

দুনিয়ার সামান্য রাজা-বাদশাহ বা কোন প্রশাসনিক ব্যক্তি যদি আমাদের কাছে কোন পত্র প্রেরণ করে, তাহলে আমরা তা কত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করি এবং তা নিয়ে গর্ববোধ করি। কিন্তু সকল বাদশাহের বাদশাহ এবং সমস্ত আসমান-যমীনের একমাত্র মালিক আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের সফলতার ফর্মুলা দিয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন; অথচ আমরা না জানি তাতে কী আছে! আর না জানার আগ্রহ আছে!

কুরআন মাজীদের সর্বপ্রথম শব্দই হলো “পড়”। কুরআন মাজীদের প্রথম শব্দ থেকেই আমরা শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি। কিন্তু আমরা জাগতিক শিক্ষার ব্যাপারে অধিক যত্নশীল হলেও শিক্ষার গুরুত্বারোপকারী সেই জীবনবিধান শেখার ব্যাপারে আমরা বরাবরই গাফেল, যা আমাদের অধঃপতনের অন্যতম কারণ।

প্রতিটি মুসলিমের শৈশবের শিক্ষা জীবন শুরু হওয়ার দরকার ছিল কুরআন দিয়ে; অথচ যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যে পৌঁছে গেলেও আমাদের অনেকেরই কুরআন শেখার সুযোগ হয়না; যদিও দুনিয়াবী ডিগ্রি অর্জনে সময়, শ্রম ও মেধা ব্যয়ের যথেষ্ট সুযোগ হয়। তবে আশার বাণী হলো, বর্তমান মুসলিম ভাইবোনদের একটি বড় অংশ জীবন সফরের কোন এক সময় কুরআনের গুরুত্ব অনুধাবন করে কুরআন শিখতে চায়; যদিও তা ঘটে কোরআন শিখার যথার্থ সময় পার হওয়ার অনেক পরে।

যে কোন শিক্ষার মৌলিক পদ্ধতি হলো, নির্দিষ্ট বয়সে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কোন যোগ্য উস্তাযের সাহচর্যে থেকে সরাসরি তা গ্রহণ করা। নির্দিষ্ট সময় বা বয়স অতিক্রম করলে শেখার পদ্ধতিও পরিবর্তন করতে হয়।

প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই জামানায় এমন অনেক কিছুই সম্ভব ও সহজসাধ্য, যা একসময় ছিল সম্পূর্ণ কল্পনাতীত। এই প্রযুক্তি আল্লাহ তাআলার এক বড় নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সব কিছুই মানুষের কল্যাণার্থে দিয়েছেন; যদিও মানুষ নিজেদের সাময়িক অবাঞ্চিত স্বাদ গ্রহণে অনেক নেয়ামতকে নিজেদের আযাবের কারণ বানিয়ে ফেলে।

আমরা যারা নির্দিষ্ট বয়সে অর্থাৎ শৈশবে কুরআন শিখতে পারিনি। তারা প্রযুক্তির নেয়ামতকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইনে কুরআন শিখতে পারি। কুরআন শেখার পর কুরআন বোঝার জন্য আরবি ভাষা শিক্ষা সহ অন্যান্য দ্বীনি বিষয়াদিও শিখতে পারি ঘরে বসেই!

আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দ্বীনি শিক্ষা সফরে ইত্তিহাদ একাডেমীকে সফরসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আপনার এই দ্বীনি শিক্ষা সফরে আমরা আপনাদের খেদমতে পুরোপুরি প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ!

আমরা আপনাদেরকে সাজেস্ট করব, যেকোনো দ্বীনি বিষয়ে অফলাইনে সুযোগ থাকলে অফলাইনেই সরাসরি উস্তাযের কাছ থেকে শিখুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইন বেছে নিতে পারেন।

আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে দ্বীন শেখার অনেকগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবার কাছে দ্বীন পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনারা যাচাই-বাছাই করে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারেন। চাইলে আমাদের সাথেও যুক্ত হতে পারেন।

আমরা নিজেদের সবচেয়ে সেরা দাবী করছি না; তবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সবটুকু দিয়ে আপনাদের খেদমত করার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর!

 

আল্লাহতায়ালা যেন এই প্রতিষ্ঠানকে দ্বীনের জন্য কবুল করে নেন। আমীন!